ই-কমার্স এবং স্টার্টআপের জন্য বিনিয়োগ: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মৃধা (সোহেল মৃধা): আজকের ডিজিটাল যুগে, ই-কমার্স এবং স্টার্টআপ কেবল একটি বাণিজ্যিক ধারণা নয়, বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে, যেখানে তরুণ উদ্যোক্তাদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, সেখানে নতুন নতুন উদ্ভাবনী ধারণাগুলো সফল বাস্তবায়নের জন্য বিনিয়োগ বা ফান্ডিং একটি অপরিহার্য উপাদান। একটি অনলাইন ব্যবসা বা স্টার্টআপের প্রারম্ভিক যাত্রা থেকে এর সম্প্রসারণ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে আর্থিক সহায়তা অপরিহার্য। এটি কেবল ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নয়, বরং নতুন পণ্য ও সেবা চালু করা, বাজার সম্প্রসারণ এবং গ্রাহক অধিগ্রহণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
তবে, বাংলাদেশে একজন উদ্যোক্তার জন্য বিনিয়োগ জোগাড় করা এখনও একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই নিবন্ধে, আমরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ই-কমার্স ও স্টার্টআপ খাতের বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা, এর সমাধানের উপায়, সরকারি ভূমিকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব এবং বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশে একজন উদ্যোক্তা যখন বিনিয়োগের সন্ধানে নামেন, তখন তাকে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ই-কমার্স ব্যবসাগুলোর জন্য এই চ্যালেঞ্জগুলো আরও তীব্র হতে পারে, কারণ এগুলোর অনেকেই ছোট বা মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। প্রধান কিছু সমস্যা নিচে তুলে ধরা হলো-
১. প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের অভাব: দেশের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টরদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। যারা আছেন, তাদের অনেকেই বড় এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায় বিনিয়োগে আগ্রহী, ছোট বা ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে নয়। ফলে নতুন উদ্যোক্তারা প্রায়শই সঠিক বিনিয়োগকারী খুঁজে পান না।
২. ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে অনীহা: আমাদের দেশে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখনও ঝুঁকি নেয়ার মানসিকতা কম। স্টার্টআপ এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো যেহেতু প্রথাগত ব্যবসার তুলনায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, তাই বিনিয়োগকারীরা এ ধরনের উদ্যোগে অর্থ লগ্নি করতে দ্বিধা করেন।
৩. আইনি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো: ই-কমার্স এবং স্টার্টআপ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট আইনি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামোর অভাব রয়েছে। এতে বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা উভয়ের জন্যই প্রক্রিয়াটি জটিল এবং অস্বচ্ছ হয়ে দাঁড়ায়।
৪. অর্থায়নের উৎস সীমিত: ব্যাংকগুলো সাধারণত জামানতবিহীন ঋণ দিতে আগ্রহী হয় না। ই-কমার্স ব্যবসাগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় জামানত প্রায়শই থাকে না, কারণ তাদের স্থায়ী সম্পদের পরিমাণ কম। ফলে ব্যাংক ঋণ পাওয়া তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
বিনিয়োগের স্তর এবং পরিমাণ: কখন কত বিনিয়োগ প্রয়োজন
একজন ই-কমার্স উদ্যোক্তা বা স্টার্টআপ ফাউন্ডারকে তাদের ব্যবসার বিভিন্ন পর্যায়ে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। এই পর্যায়গুলো সাধারণত নিম্নরূপ-
১. প্রি-সিড পর্যায়: এটি ব্যবসার একদম প্রাথমিক পর্যায়, যখন কেবল একটি ধারণা বা প্রোটোটাইপ থাকে। এই সময়ে বিনিয়োগের পরিমাণ সাধারণত ৫০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই ফান্ডিং উদ্যোক্তার নিজস্ব সঞ্চয়, পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব অথবা কিছু ক্ষেত্রে অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টরদের কাছ থেকে আসে। এই অর্থ বাজার যাচাই, প্রাথমিক গবেষণা এবং একটি কার্যকরী প্রোটোটাইপ তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।
২. সিড পর্যায়: এই পর্যায়ে ব্যবসার একটি প্রমাণিত মডেল এবং কিছু প্রাথমিক গ্রাহক থাকে। উদ্যোক্তা এখন ব্যবসাকে বড় করার জন্য ফান্ডিং খুঁজছেন। এই সময়ে বিনিয়োগের পরিমাণ সাধারণত ৫ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই ফান্ডিং প্রধানত অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর, ইনকিউবেটর বা প্রাথমিক পর্যায়ের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মের কাছ থেকে আসে। এই অর্থ টিম গঠন, মার্কেটিং এবং গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়।
৩. সিরিজ এ পর্যায়: যখন ব্যবসাটি একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌঁছায় এবং তার প্রবৃদ্ধির সুস্পষ্ট চিত্র থাকে, তখন সিরিজ এ ফান্ডিংয়ের প্রয়োজন হয়। এই পর্যায়ে বিনিয়োগের পরিমাণ সাধারণত ১ কোটি থেকে ১০ কোটি টাকা বা তারও বেশি হতে পারে। এই ফান্ডিং প্রধানত ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মের কাছ থেকে আসে। এই অর্থ নতুন বাজারে প্রবেশ, পণ্যের পরিসর বৃদ্ধি এবং একটি টেকসই ব্যবসায়িক মডেল তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।
৪. পরবর্তী পর্যায়: এই পর্যায়গুলোতে ব্যবসার মডেল এবং প্রবৃদ্ধি সম্পূর্ণ প্রমাণিত হয়। তখন বিনিয়োগের পরিমাণ শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই ফান্ডিং বড় ধরনের সম্প্রসারণ, নতুন দেশে কার্যক্রম শুরু এবং প্রতিযোগীদের তুলনায় এগিয়ে থাকার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই বিনিয়োগগুলো সাধারণত বড় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, প্রাইভেট ইক্যুইটি ফার্ম বা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আসে।
সমাধানের উপায়: একটি বহুমুখী কৌশল
এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় একটি সমন্বিত ও বহুমুখী কৌশল গ্রহণ করা প্রয়োজন। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে আলোচনা করা হলো-
১. বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তার মধ্যে সংযোগ: বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ইনকিউবেটর, এবং অ্যাক্সেলেরেটর প্রোগ্রাম আয়োজন করা যেতে পারে যা উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবে।
২. স্টার্টআপ ও ই-কমার্স বান্ধব নীতিমালা: সরকারের উচিত একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা, যা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য কর ছাড়, সহজ নিবন্ধন প্রক্রিয়া এবং আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। ই-কমার্স ব্যবসার জন্য বিশেষ করে ক্রাউডফান্ডিং এবং অন্যান্য বিকল্প অর্থায়নের উৎসকে আইনি স্বীকৃতি দেয়া যেতে পারে।
৩. আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা: ব্যাংকগুলো ই-কমার্স ব্যবসার জন্য বিশেষ ঋণ প্রকল্প চালু করতে পারে, যেখানে জামানতের পরিবর্তে ব্যবসার সম্ভাবনা, লেনদেনের ইতিহাস এবং ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টকে মূল্যায়ন করা হবে। ফিনটেক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে পার্টনারশিপ করে ডিজিটাল ঋণ প্রদান প্রক্রিয়াও চালু করা যেতে পারে।
সরকারি নিয়ম নীতি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
সরকারি নীতিমালা এবং সহযোগিতা:
বাংলাদেশ সরকার স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশ ব্যাংক স্টার্টআপ ফান্ড এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত উদ্ভাবনী স্টার্টআপগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। তবে, ই-কমার্স খাতকে আরও শক্তিশালী করতে সরকারের উচিত তাদের প্রতি আরও সহযোগিতামূলক মনোভাব পোষণ করা। ই-কমার্সের জন্য বিশেষ কর ছাড়, অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের সহজলভ্যতা এবং কাস্টমস ও লজিস্টিক সহায়তার মতো বিষয়গুলোতে নজর দেয়া প্রয়োজন। সরকারকে ই-কমার্সের উদ্যোক্তাদের প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে যে তারা শুধু বড় কর্পোরেট হাউসের জন্য নয়, বরং ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্যও একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে প্রস্তুত।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা:
ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন পর্যন্ত ই-কমার্স এবং স্টার্টআপের জন্য তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। তবে, তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। ব্যাংকগুলো জামানতবিহীন ঋণ, ভেঞ্চার ডেট বা অন্য কোনো উদ্ভাবনী আর্থিক পণ্য চালু করতে পারে যা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন অনুযায়ী ডিজাইন করা। এখানে অনলাইন লেনদেনের ডেটা, মাসিক বিক্রির পরিমাণ এবং গ্রাহকদের রেটিং এর মতো বিষয়গুলো ঋণের যোগ্যতা নির্ধারণে ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিদেশি বিনিয়োগ এবং উদ্যোক্তাদের করণীয়
বিদেশি বিনিয়োগ বাংলাদেশের ই-কমার্স এবং স্টার্টআপ খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কেবল অর্থ এনে দেয় না, বরং আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, প্রযুক্তি এবং বাজারের নতুন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে। তবে বিদেশি বিনিয়োগ পেতে উদ্যোক্তাদের কিছু প্রস্তুতি থাকা জরুরি-
১. শক্তিশালী ব্যবসায়িক পরিকল্পনা: বিদেশি বিনিয়োগকারীরা একটি সুসংগঠিত, বিস্তারিত এবং বাস্তবসম্মত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা দেখতে চান। আপনার পরিকল্পনায় বাজারের আকার, গ্রাহক সংখ্যা, রাজস্ব মডেল, এবং আগামী ৫-১০ বছরের প্রবৃদ্ধির সুস্পষ্ট চিত্র থাকতে হবে। ই-কমার্স ব্যবসার জন্য গ্রাহক অধিগ্রহণ খরচ, গ্রাহক জীবনকাল মূল্য, এবং রিটার্ন রেট এর মতো মেট্রিকগুলো স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা জরুরি।
২. প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা: আপনার প্ল্যাটফর্ম বা সেবায় এমন কিছু থাকতে হবে যা আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। উন্নত প্রযুক্তি, ব্যবহারকারী-বান্ধব ডিজাইন এবং নিরাপদ পেমেন্ট সিস্টেম বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সাহায্য করে। ই-কমার্সে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে ব্যক্তিগতকৃত কেনাকাটার অভিজ্ঞতা তৈরি, ডেটা অ্যানালাইসিস ব্যবহার করে গ্রাহকের আচরণ বোঝা এবং স্বয়ংক্রিয় কাস্টমার সার্ভিস চালু করা বিনিয়োগকারীদের কাছে আপনার প্ল্যাটফর্মকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
৩. নিশ্চয়তা এবং স্বচ্ছতা: বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আইনি এবং আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চান। আপনার ব্যবসার কাঠামো, আর্থিক বিবরণী এবং আইনি কাগজপত্র অবশ্যই ত্রুটিমুক্ত এবং স্বচ্ছ হতে হবে।
কারা বিনিয়োগ প্রদান করে এবং সফলতার কেস স্টাডি
বাংলাদেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগকারী বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ই-কমার্স এবং স্টার্টআপে বিনিয়োগ করে। এর মধ্যে প্রধান কিছু হলো- অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম, এবং ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম। এই বিনিয়োগকারীরা মূলত টিমের দক্ষতা, ব্যবসার মডেল, বাজারের আকার, এবং প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখে বিনিয়োগ করেন। ই-কমার্সের ক্ষেত্রে, গ্রাহক বৃদ্ধি, অর্ডার সংখ্যা, এবং গ্রাহক ধরে রাখার ক্ষমতা এর মতো বিষয়গুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
সফলতার উদাহরণ
বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে কিছু প্রতিষ্ঠান সফলভাবে বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, পাঠাও তাদের রাইড-শেয়ারিং এবং ডেলিভারি সেবার জন্য বিদেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম থেকে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ পেয়েছে। আবার, চালডাল ডট কম তাদের অনলাইন গ্রোসারি ব্যবসার জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সাফল্যের মূল কারণ ছিল তাদের শক্তিশালী ব্যবসায়িক মডেল, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার এবং বাজারের একটি নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা।
ই-কমার্স মডেলের বৈচিত্র্য
বিনিয়োগকারীরা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট ধরনের ই-কমার্স মডেলে আগ্রহী নন। মার্কেটপ্লেস মডেল (যেমন: দারাজ) এবং সিঙ্গেল-ভেন্ডর মডেল (যেমন: চালডাল) উভয়ই তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের কারণে বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় হতে পারে। উদ্যোক্তাদের তাদের ব্যবসার মডেল অনুযায়ী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ই-কমার্স এবং স্টার্টআপের ভূমিকা দিন দিন বাড়ছে। এই খাতকে আরও গতিশীল করতে বিনিয়োগ একটি অপরিহার্য উপাদান। যদিও এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে সরকারি নীতি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা এবং উদ্যোক্তাদের সঠিক প্রস্তুতি এই বাধাগুলো দূর করতে পারে। সঠিক উদ্যোগ এবং সঠিক নীতিমালার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা সম্ভব, যা কেবল নতুন উদ্যোক্তাদের সফলতার পথ সুগম করবে না, বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা সফল হলে বাংলাদেশ খুব শিগগিরই স্টার্টআপ এবং ই-কমার্স হাব হিসেবে বিশ্ব দরবারে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে পারবে।
লেখক: মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মৃধা (সোহেল মৃধা)- প্রতিষ্ঠাতা কিনলে ডটকম, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ই-ক্যাব