ই-কমার্স ইকোসিস্টেম নিয়ে প্যানেল আলোচনা
`সবার জন্য ই-কমার্স ইকোসিস্টেম’ শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল প্যানেল আলোচনা আয়োজন করেছে দেশের অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ। প্রতিনিয়তই নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। ই-কমার্স ব্যবসায় আমাদের দেশও এগিয়ে যাচ্ছে প্রবৃদ্ধির দিকে, যা আমাদের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্যানেল আলোচনায় বক্তারা ই-কমার্স খাতের প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রেক্ষিত নিয়ে আলোচনা করেন। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ই-কমার্স ইকোসিস্টেম নিয়ে গতকাল বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দারাজের ফেসবুক পেজে এ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্যানেল আলোচনায় আলোচক ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল এবং দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক। সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর হেড অব ডিজিটাল বিজনেস জাবেদ সুলতান পিয়াস।
টিপু মুনশি বলেন, ই-কমার্স খাতে আমাদের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। যে হারে আমাদের অগ্রগতি হয়েছে তা আগামী তিন বছরের প্রত্যাশিত হারের সমান। এমন কি কোভিড চলাকালীন সময়েও আমাদের ই-কমার্স খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ই-কমার্স ব্যবসার কারণে মহামারী চলাকালীন টিসিবি পণ্য নিয়ে অভাবী মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। আমরা শিগগিরই সকল অংশীদারদের নিয়ে এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করব।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ডিজিটাল বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ই-কমার্সের বিস্তৃতিতে সরকার তিনটি পূর্বশর্তের ব্যাপার নিশ্চিত করেছে: উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ, ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা এবং আস্থা। আইসিটি খাতে নারীদের অংশগ্রহণে ভারসাম্য তৈরিতেও ই-কমার্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ই-কমার্স খাতের প্রবৃদ্ধিতে আমরা ই-কমার্স ইকোসিস্টেম-বান্ধব নীতিমালা চাই। নীতিমালায় তিনটি বিষয় থাকা উচিত, যথা: গ্রাহক সুবিধা বিবেচনায় সহজে বাস্তবায়নযোগ্য প্রক্রিয়া, আন্ত:সীমান্ত ই-কমার্স ও আমদানি-রফতানি নীতিমালায় এর অন্তর্ভুক্তি সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করা। এটা যদি আমরা করতে পারি ই-কমার্স সাইটগুলো ৫ কোটি ক্রেতা পাবে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে আরও অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।’
প্যানেল আলোচনায় দেশের অর্থনীতিতে ই-কমার্স খাতের প্রবৃদ্ধির ভূমিকা, এ খাতের ভবিষ্যত প্রবৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় নানা বিষয়, কার্যক্রম প্রক্রিয়ার সহজীকরণ, ডেলিভারিসহ সকল ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্সের নিশ্চয়তা, গ্রাহক স্বার্থ সুরক্ষা, নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ই-কমার্স খাতের ভূমিকা, তরুণদের কর্মসংস্থান ও তাদের সঠিক দক্ষতার উন্নয়ন এবং শিল্পখাতের স্বচ্ছতা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় বক্তারা ই-কমার্স নীতি তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যাতে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সুষ্ঠুভাবে এ খাতের প্রবৃদ্ধি ঘটে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এ খাতের বিকাশে প্রয়োজনীয় সুযোগ পায়।