ইন্টারনেট সেবায় চাঁদা দাবি করছে উত্তরা ১৩ নং সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটি
ক.বি.ডেস্ক: ইন্টারনেট সেবায় ‘নিবন্ধন ফি’ ও ‘সার্ভিস চার্জ’ এর নামে চাঁদা দাবি করছে উত্তরা ১৩ নং সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। সোসাইটির পক্ষ থেকে উত্তরা ১৩ নং সেক্টর এলাকায় ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগকারীদের এ বিষয়ে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে একশ’র নিচে সংযোগের জন্য ৫ হাজার টাকা এবং শতাধিক সংযোগের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি ধরা হয়েছে। এর সঙ্গে প্রতি মাসে সার্ভিস চার্জ বাবদ প্রতি শতক সংযোগের জন্য ৫ হাজার এবং শতক অতিক্রম করলে পর্যায়ক্রমে ৫ হাজার টাকা করে বাড়বে।
সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. মুমতাজুল করিম, অর্থ সম্পাদক কাজী মোশাররফ হোসেন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুবাইর আব্দুল্লাহ নাসিম স্বাক্ষরিত চিঠি দেয়া হয় উত্তরা ১৩ নং সেক্টর এলাকায় ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগকারীদের।
‘নিবন্ধন ফি’ ও ‘সার্ভিস চার্জ’ এর নামে চাঁদা দাবি চিঠি প্রসঙ্গে সোসাইটির অ্যাডমিন ফাইন্যান্স ম্যানেজার ও চিঠি প্রেরক খায়রুল বাসার রুমেল জানান, উত্তরা ১৩ নং সেক্টর এলাকায় সুশৃঙ্খল ভাবে ব্যবসায় পরিচালনার স্বার্থে এই চিঠি দেয়া হয়েছে। এখানে ব্যবসা করার জন্য তাদের কার্ড দেয়া হবে। সেটা দিয়েই সোসাইটিতে তারা ইন্টারনেট সেবা দেয়ার সুযোগ পাবে। যারা ইতিমধ্যেই এখানে ব্যবসা করছেন তাদেরকেউ নিবন্ধিত হতে হবে।
তবে চিঠি দেয়ার আগে বিটিআরসি কিংবা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সঙ্গে কোনো অনুমোদন নেয়া হয়েছে কি না সে বিষয়ে পরিস্কার কোনো উত্তর দিতে পারেন নি খায়রুল বাসার রুমেল।
ভুক্তভোগি এক আইএসপি ব্যবসায়ী জানান, দীর্ঘ দিন ধরেই সোসাইটি থেকে আমাদের কাছে চাঁদা চেয়ে আসছে। এজন্য এরইমধ্যে আমাদের ব্যবসায়িক লাইসেন্সসহ কাগজপত্র জমা নিয়েছে। জমা নেয়া ওই কাগজপত্রের নাম ধরে ধরে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে সেপ্টেম্বর থেকে এই চাঁদা ধরা হয়েছে। এই চাঁদা আমাদের জন্য বাড়তি চাপ। যা পরিশোধ করতে হলে কোনো ভাবেই এক দেশ এক রেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।
সোসাইটির এই চিঠির বিষয়ে আইএসপিএবি কার্যালয়ে আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) উত্তরা ১৩ সেক্টরের আইএসপি ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।
বৈঠক বিষয়ে আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেছেন, আমরা সরকারের বাইরে কাউকে চাঁদা দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবসা করবো না। প্রয়োজনে যে এলকায় চাঁদা চাওয়া হবে ওই এলকায় সেবা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, উত্তরা ১৩ নং সেক্টরে ৩৫ জন নিবন্ধিতসহ শতাধিক ইন্টারনেট ব্যবসায়ী রয়েছে। ওই এলাকার এক হাজারটির বেশি বাড়ীতে ৫ হাজারেরও বেশি ব্রডব্যান্ড সংযোগ রয়েছে।