ইন্টারনেট বন্ধের দায়ভার সবার আগে বিটিআরসি’র ওপর বর্তায়
ক.বি.ডেস্ক: নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা এবং দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর ওপর। কিন্তু তারা সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে উপরন্ত গ্রাহকের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার করার সুযোগ না দেয়া এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ‘এক দেশ এক রেট’ গাইডলাইন বাস্তবায়ন না করতে পারায় তাদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা উচিত।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এই আহ্বান জানান বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি মনে করে এদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত এবং বিটিআরসি’র দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা উচিত। পাশাপাশি সাবমেরিন ক্যাবল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে পুরো জাতিকে জিম্মি করে রেখেছিল তাই তার শুধু পদত্যাগ নয় তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ইন্টারনেট ও আইসিটি খাতে যে দখলবাজি বা অপসংস্কৃতি চলছে তার একটি সঠিক সমাধান দরকার। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রি থেকে অপসারণ করতে হবে। আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করবেন এবং অধিকার বঞ্চিত হওয়া গ্রাহকদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হবেন। ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি, বিটিসিএল, ডট সহ রাষ্ট্রীয় সকল সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে ঢেলে সাজাবেন এবং দুর্নীতিমুক্ত করবেন। পাশাপাশি সকল প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবেন।”
তিনি আরও বলেন, “এ সকল প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, প্রকল্পে লুটপাট, অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বেসরকারি ও বিদেশী বিনিয়োগকারী অপারেটরদের জবাবদিহিতার আওতায় এনে গ্রাহকদের অধিকার ফিরিয়ে দেবেন। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বিগত দিনের ন্যায় আমরা সুপরামর্শ এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখব। আমরা খুব শীঘ্রই অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সকল সেক্টরের সার্বিক অবস্থা উন্নয়ন, জবাবদিহিতা এবং সম্ভাবনার একটি প্রযুক্তিবান্ধব বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপরেখা প্রদান করব।”