ইউরোপে বাজার সম্প্রসারণে সহযোগিতা করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোপিয়ান চেইন অব কমার্সের অংশ হওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশকে তাদের মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে ইউরোপের বাজার ধরতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার ও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহী।
আজ রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে বেসিস আয়োজিত বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩ এ বেসিস সফটএক্সপো আয়োজিত ‘২০২৫ সাল নাগাদ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রফতানি আয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বেসেডর চার্লস হোয়াইটলি।
‘২০২৫ সাল নাগাদ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রফতানি আয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীতকরণ’ সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন। প্রধান বক্তা ছিলেন র্যাপিড এর চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক। আলোচক ছিলেন বেসিস পরিচালক রাশাদ কবির, উনিপেট এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেক্সটার রিলেই ও ই-ট্রেইন এর নির্বাহী পরিচালক ডাটো এরিক কু উইই ফেই। পরিচালনা করেন বেসিস এর আন্তর্জাতিক বাজার উন্নয়ন বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান টি আই এম নুরুল কবির।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আইসিটি সেক্টর থেকে রপ্তানি আয় অনেক বেশি হতে পারে। কোভিড পরবর্তী সময়কাল হলো বিশ্বে আইসিটি উত্থানের সময়। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ইন্টারনেট খরচ সস্তা কিন্তু ধীরগতির। এটি আমাদের উন্নত করতে হবে। কারণ সব কিছুর মূলেই রয়েছে ইন্টারনেট। তাই দ্রুতগতির ইন্টারনেট খুব বেশি প্রয়োজন। বাংলাদেশে প্রচুর প্রতিভাবান মানবসম্পদ রয়েছে। আইটি শিল্পে সবচেয়ে বড় পুঁজি হলো এই মানবসম্পদ। আইটি শিল্পে বাংলাদেশ একটি উদীয়মান দেশ। আর এক্ষেত্রে বেসিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রযুক্তির আরও উন্নতির জন্য আমাদের প্রোগ্রামিং ভাষার পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং এবং আইওটি-এর মতো উন্নত প্রযুক্তি শিখতে হবে।
বক্তারা আরও বলেছেন, বাংলাদেশকে শুধু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা জাপানের সঙ্গে রফতানির দিকে মনোনিবেশ করলে হবে না। ল্যাটিন আমেরিকা এবং আফ্রিকার দেশগুলোর দিকেও নজর দিতে হবে। তাহলেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। সারা বিশ্বের বাজারে প্রবেশের ফলে এই শিল্পের বিকাশ ঘটবে। কিন্তু যারা তরুণ উদ্যোক্তা তারা চাইলেই সহজে ইউরোপের বাজারে প্রবেশ করতে পারে না। এজন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতার পাশাপাশি সেখানে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্র্যান্ডিং জরুরী।