আইসিটি বিভাগের নতুন চার উদ্যোগ
আইসিটি বিভাগ তরুণদের প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান এবং আইসিটি খাতের উন্নয়নে নতুন চার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আইসিটি বিভাগের বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের (বিএইচটিপিএ) সঙ্গে এসব প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে হুয়াওয়ে। গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিসিসি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো এ নিয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। সমঝোতার আওতায় শিক্ষার্থী, গবেষক, বিশ্ববিদ্যালয়, ডেভেলপার, স্টার্টআপ এবং সংশ্লিষ্টদের জন্য বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশন-২০২০, আইসিটি জয়েন্ট ইনোভেশন সেন্টার, হুয়াওয়ে আইসিটি অ্যাকাডেমি এবং কিউরেটিং বাংলাদেশি স্টার্টআপস নামে চারটি প্রকল্প শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝ্যাং ঝেংজুন, বিএইচটিপিএ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতীম দেব এবং আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। সভাপতিত্ব করেন এলআইসিটি প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এখনকার সমস্ত উদ্যোগ এবং প্রকল্পগুলো তরুণ, আইসিটি এবং কর্মসংস্থাননির্ভর। এই সমঝোতা তরুণ শিক্ষার্থী, গবেষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উদ্ভাবকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম হবে। একই সঙ্গে হুয়াওয়ের উদ্ভাবিত বিশ্বের সর্বশেষতম প্রযুক্তিগুলোর অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ তৈরি করবে। এই চুক্তি শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং একাডেমিয়ার মধ্যকার ব্যবধানও কমাতে সক্ষম হবে। দ্বিতীয়ত কিছু বিশবিদ্যালয়ে একটি বিশেষ একাডেমি হচ্ছে সেখানে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়কে সংযুক্ত করার সুযোগ পাবে এবং তাদের আর্থিক সহায়তা পাওয়ারও সুযোগ থাকবে।
ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, আধুনিক সময়ে যেকোনো দেশের যেকোনো শিল্পখাতের জন্য একটি ডিজিটাল কাঠামো থাকা আবশ্যক। এজন্য নতুন ও পরিবর্তনশীল সময়ের সাথে খাপ খাইয়ে দেশের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে তরুণদের মধ্যে আইসিটি খাতে দক্ষতা থাকা অনিবার্য হয়ে উঠেছে। হুয়াওয়ের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে আইসিটি খাতে দক্ষতা বৃদ্ধির উতসাহ তৈরি করবে।
হোসনে আরা বেগম বলেন, সত্যিকার অর্থেই ডিজিটাল দেশ পেতে আইসিটি ও যোগাযোগ শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট সকল খাতের মধ্যে সংযোগ থাকতে হবে। দেশের প্রবৃদ্ধির জন্য এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হতে একসাথে কাজ করতে হবে।
পার্থপ্রতীম দেব বলেন, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠায় দেশের অবস্থানকে জোরদার করে তুলতে এবং চীনের প্রযুক্তির সুফল পাওয়া যাবে এই চুক্তির ফলে।