আইসিটি প্রতিষ্ঠান মেট্রোনেটে হামলা দুর্বৃত্তদের
ক.বি.ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়ন করতে ডিজিটাইজেশনের মূল হাতিয়ার ইন্টারনেট। মেট্রোনেট শুধু কর্পোরেট সেক্টর নয়, শহরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিয়েছে। ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক স্থাপন ও বিস্তারের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেড ২০০১ সালে দেশের প্রথম মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক স্থাপন করে এবং দীর্ঘ প্রায় বিশ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে আসছে। এর মাঝে আছে ব্যাংক, জাতীয় জরুরি সেবাকেন্দ্র ৯৯৯, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা, বিদেশি দূতাবাস ও দাতা সংস্থা, স্টক এক্সচেঞ্জ ইত্যাদি।
মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেড এর ৫১% মালিকানা দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান রহিমআফরোজ বাংলাদেশ লিমিটেডের এবং রহিমআফরোজ এর নেতৃত্বে বিগত ২০০৪ সাল থেকে মেট্রোনেট ক্রমাগত সাফল্য অর্জন করে। এই অবস্থায় ফেরদৌস আজম খান, মোস্তফা রফিকুল ইসলাম এবং ফারাহ ইসলাম কয়েক মাস ধরে প্রতিষ্ঠানটি (মেট্রোনেট) অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখলে নেয়ার অপচেষ্টা করে আসছে এবং জালিয়াতি করে ইতিমধ্যে ০৭ (সাত) কোটি টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার (১ মার্চ) মাহবুবুল আলমের প্ররোচনায়, ফেরদৌস আজম খান ১০/১২ জন সন্ত্রাসীসহ মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেডের সার্ভিস বন্ধ করার জন্য এর বনানীস্থ ডাটা সেন্টার অফিসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং এর মাধ্যমে সরকারের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস (৯৯৯), ই-পাসপোর্ট, ব্যাংক, বীমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডাটা সংযোগ সার্ভিস বন্ধ করে রহিমআফরোজ বাংলাদেশ লিমিটেডকে মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেড পরিচালনায় অক্ষম দেখানোর অপচেষ্টা করে। পাশাপাশি বর্ণিত ব্যাক্তিগণ মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেডের ফেক ডোমেইন চালু করে এবং তা ক্রেতা ও সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে শেয়ার করে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
টেকনিক্যাল অফিস থেকে দেশব্যাপী জাতীয় জরুরি সেবাকেন্দ্র ৯৯৯ ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রদান করা হয়। মেট্রোনেটের নিজস্ব ডাটা সেন্টারের অবস্থানও এই ভবনে। আইটি ও আইটিইএস কোম্পানি, স্টার্ট-আপ, ব্যাংক মেট্রোনেটের তৈরি ক্লাউড প্লাটফর্ম মেট্রোস্কাইতে নিজেদের অ্যাপ ও ডেটা রাখে। দুর্বৃত্তদের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল এই ডেটা সেন্টারের ক্ষতি সাধন করা এবং দেশব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগে বিঘ্ন সৃষ্টি করা। উপরন্তু এই কুচক্রী মহল শুধু সন্ত্রাসী হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং রহিমআফরোজ বাংলাদেশ লিমিটেডের নামে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
আইসিটি প্রতিষ্ঠান মেট্রোনেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান। এমন অবস্থায় বর্ণিত ব্যাক্তিগণ আদালতের আদেশ অমান্য করে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে মেট্রোনেটের অফিসে উক্ত হামলা পরিচালনা করে এবং নিজেদের কুকীর্তি ঢাকার জন্য মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করে।