আইসিটি খাতে টেকসই সংস্কারের দাবী ‘জুলাই ৩৬’ ফোরামের
ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশের আইসিটি অবকাঠামো বাড়াতে উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক সাহায্য ও অনুদান পেয়েছে। তবে এসব তহবিল বরাদ্দে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আইসিটি খাতে দুর্নীতির সঠিক তদন্ত পূর্বক দূর্নীতিবাজ ও তার সহযোগিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্তর্বর্তী সরকারের আইসিটি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের হস্তক্ষপ কামনা করেছেন ‘জুলাই ৩৬’ ফোরামের আহবায়ক নাজির শাহীন।
আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সহ আহবায়ক ইফতেখার আলম, কোষাধ্যক্ষ ইলিয়াস মোল্লা এবং সচিব নাউবীদ হোসাইন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান জুলাই মাস থেকে শুরু হয়। সে জন্য এই সংগঠনের নামকরণ করা হয় ‘জুলাই ৩৬’।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইসিটি উদ্ভাবন এবং স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমের প্রচারের উদ্দেশ্যে সরকারি কর্মসূচিগুলোও পক্ষপাতিত্ব এবং তহবিলের অপব্যবহার হয়েছে। কিছু প্রযুক্তি উদ্যোক্তা দাবি করেছেন, সরকারি তহবিলের অ্যাক্সেস প্রায়ই রাজনৈতিক সংযোগের সঙ্গে সীমাবদ্ধ থাকে, যা সত্যিকারের উদ্ভাবন এবং প্রতিযোগিতাকে দমিয়ে রাখে। অনুমানের অপব্যবহার প্রায়ই ডিজিটাইজেশন এবং আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টার অগ্রগতিকে ধীর করে দেয়।
ফোরামের সহ আহবায়ক ইফতেখার আলম বলেন, “এই খাতে দুর্নীতির কারণে শুধু আর্থিক ক্ষতিই হয়নি, বাংলাদেশের ডিজিটাল উন্নয়নকেও বাধাগ্রস্থ করেছে। তহবিলগুলো কার্যকরভাবে ব্যবহার করা এবং তাদের অভিপ্রেত লক্ষ্যে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে এই সমস্যাগুলোর সমন্বয়ের জন্য কঠোর শাসন এবং স্বাধীন নিরীক্ষার প্রয়োজন। কিন্তু তা এই খাতে হয়নি।”
জুলাই৩৬ ফোরাম একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক সংস্থা, যারা এই দেশের প্রবৃদ্ধি জন্য গুরুত্বপূর্ন বিভিন্ন সেক্টরে জবাবদিহিতার সঙ্গে সংস্কারের জন্য কাজ করে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নীতি বিষয়ক কাজ করছে।