আইডিয়াসমূহ বাস্তবায়নে বাক্কো’র সহযোগিতা চাই: আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান
ক.বি.ডেস্ক: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশের সর্বপ্রথম স্মার্ট জেলা হিসেবে আমরা চট্টগ্রামকে বিনির্মাণ করতে চাই। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আমরা ১২৭টি আইডিয়া সংগ্রহ করেছি, যার মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে ৫০টি আইডিয়া বাছাই করেছি বাস্তবায়নের জন্য। স্মার্ট স্কুলবাস, পটিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প বা শেখ হাসিনা স্মার্ট ভিলেজ নির্মাণ, স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার ইক্যুইপমেন্ট অ্যান্ড স্মার্ট লেবার পুল, সমস্ত প্রকার লাইসেন্সিংয়ের জন্য স্মার্ট অ্যাপ তৈরি আইডিয়াগুলো অন্যতম। আমাদের আইডিয়াসমূহ বাস্তবায়নে বাক্কো’র সহযোগিতা চাই।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিকালে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘বিভাগীয় বিপিও সামিট ২০২৩ (চট্টগ্রাম বিভাগ)’- সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
বিভাগীয় বিপিও সামিট ২০২৩ (চট্টগ্রাম বিভাগ) এর সমাপনী অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ফোনেযুক্ত হন প্রধান অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ এবং প্রশাসন) মো. মিজানুর রহমান এবং বাক্কো সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, পরিচালক ফজলুল হক এবং পরিচালক এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু।
বক্তব্য রাখেন টিএমজিবি’র সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন, বিআইজেএফ’র নির্বাহী সদস্য এস এম ইমদাদুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমপিউটার বিচিত্রা’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ভূঁইয়া মোহাম্মদ ইমরাদ (তুষার), বাক্কো লোকাল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট সাবকমিটির চেয়ারম্যান মৃধা মো. মাহফুজ-উল-হক চয়ন।
আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, দেশের প্রথম স্মার্ট জেলা হিসেবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দেয়া কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। সেকারণেই বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। আর এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রশাসনের জনশক্তিকেও স্মার্ট করতে ‘ওয়ার্কিপ্লেস হেলথ অ্যান্ড সেফটি এবং প্রশাসনের অধীন ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরুণদের ভাষা ও মনো-সাংস্কৃতিক উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে বাক্কো’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। চট্টগ্রামকে দেশের প্রথম স্মার্ট জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
মূল অনুষ্ঠানের আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘ফস্টারিং বিপিও ইন্ডাস্ট্রি টু অ্যাচিভ স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক পলিসি ডায়লগ সেশন। এ সেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন বাক্কো পরিচালক আহমেদুল ইসলাম বাবু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাক্কো পরিচালক ফজলুল হক।
সরকারি কর্মকর্তা, উদ্যোক্তা ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় স্নাতক পাশ ফ্রেশ গ্রাজ্যুয়টদের কর্মদক্ষতা গড়ে তুলতে চলমান উদ্যোগ, কর্মপরিসর ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন বাক্কো’র লোকাল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট উপকমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজ-উল-হক চয়ন।
সভায় বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি, শিক্ষক, উদ্যোক্তা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা বিপিও খাত নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। সবার বক্তব্য শুনে এক মাসের মধ্যে যুব অধিদপ্তর, শিক্ষ অধিদপ্তর, মহিলা অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বাক্কো কার্য নির্বাহী কমিটির বৈঠক করে সমন্বিতভাবে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের জন্য একটি বর্ষপঞ্জি তৈরির নির্দেশনা দেন জেলা প্রশসাক মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেশন, সিভি সংগ্রহ এবং চাকুরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক নামকরা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী মেধাবী শিক্ষার্থীদের ইন্টারভিউ নেয়া হয় এ চাকরি মেলায়। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হল: ফিফো টেক, টেকনোগ্রাম লিমিটেড, নোবেল আইটি সলিউশন লিমিটেড, এইচ এম সি টেকনোলজি লিমিটেড, হ্যালো ওয়ার্ল্ড এবং এডাব্লিউ কমিউনিকেশান।
বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩ বাক্কো’র উদ্যোগে এবং আইসিটি অধিদপ্তর ও বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল’র সার্বিক সহযোগিতায় অনুষিত হচ্ছে। আয়োজনের প্ল্যাটিনাম স্পন্সর আয়েশা সার্ভিসেস লিমিটেড, এডিএন টেলিকম লিমিটেড, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড এবং সিনার্জি সলিউশন্স। গোল্ড স্পন্সর ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক লিমিটেড, উইজডম ভ্যালি লিমিটেড। সিলভার স্পন্সর স্কাইটেক সলিউশন্স।