অ্যানিমেশন ফিল্ম খোকা’র প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত
ক.বি.ডেস্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শৈশব-কৈশোরকে প্রাধান্য দিয়ে নির্মিত বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম প্রায় ৯৬ মিনিটের অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘খোকা’ প্রিমিয়ার শো বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর স্টার সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইসিটি বিভাগের মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশন এর দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে ১১ পর্বের এই অ্যানিমেশন সিরিজ নির্মাণ করা হয়। ১১ পর্বের সিরিজটিকে একসঙ্গে করে অ্যানিমেশন ফিল্ম হিসেবে প্রদর্শন করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর স্টার সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘খোকা’ প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি পথ শিশু এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘খোকা’ উপভোগ করেন। পাশাপাশি প্রদর্শনীতে সংসদ সদস্যগণ, আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে সিরিজটি উপভোগ করেন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন এবং উন্নত আধুনিক সোনার বাংলা গড়ার ভিত্তি রচনা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর দুরন্ত কৈশোর, সংগ্রামী ছাত্রজীবনকে আমরা শিশু-কিশোরদের প্রিয় মাধ্যম অ্যানিমেশনে তুলে ধরেছি। শৈশবে বঙ্গবন্ধু যেমন একজন মানবিক শিশু ছিলেন, কৈশোরে তেমনই দুরন্ত-প্রতিবাদী ছিলেন। প্রত্যন্ত অঞ্চল টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে কীভাবে বড় হয়ে আস্তে আস্তে খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে মুজিব ভাই, মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতায় পরিণত হলেন এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক নেতৃত্বকে এই অ্যানিমেশনের মাধ্যমে সহজ-সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আধুনিক প্রযুক্তি এবং শিল্পের সমন্বয়ে সৃজনশীল তরুণ প্রজন্ম গড়ে তুলতে আইসিটি বিভাগ কাজ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সারাবিশ্বে অ্যানিমেশন শিল্পের বাজার দাঁড়াবে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার। সেখানে দেশের মেধাবী তরুণরা যাতে অবদান রাখতে পারে তার জন্য আমরা ফিউচার অ্যানিমেটর্স অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ ইকোনমি প্রকল্প গ্রহণ করছি। এআই এক্সপার্ট এবং টুল ব্যবহার করে ভবিষ্যতে অ্যানিমেশন শিল্পের সম্প্রসারণের জন্য একটি বড় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের তরুণ-তরুণীদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে ফিউচার ক্রিয়েটিভ ইকোনোমি গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশে আরও ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যাধুনিক অ্যানিমেশন ল্যাব স্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।”
দেশের জনসাধারন ও নতুন প্রজন্মকে মানবিক হতে ও দেশপ্রেমের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে অ্যানিমেটেড সিরিজটি বিশেষ অবদান রাখবে। দেশীয় অ্যানিমেটর দ্বারা উন্নয়নকৃত অ্যানিমেশনের মাধ্যমে তৈরি হওয়ায় সব বয়সী দর্শকেরা সহজেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শৈশব-কৈশরের জীবনী সম্পর্কে সহজে জানতে পারবেন।
মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে নির্মিত এই সিরিজটির পরিচালনায় ছিলেন প্রোল্যান্সার স্টুডিও এর সোহেল মোহাম্মদ রানা। প্রযোজকের দায়িত্বে ছিলেন ছিলেন শেখ অলিদুর রহমান হীরা এবং সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন মার্স সলিউশনের কর্ণধার এম ই চৌধুরী শামীম এবং এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা দিলারা আফরোজ খান রুপা।