অপো’র ‘ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩’
ক.বি.ডেস্ক: আগামী ‘বিশ্ব হাসি দিবস’ (অক্টোবর মাসের প্রথম শুক্রবার) এ অপো ‘‘ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩’’ প্রতিযোগিতার কথা ঘোষণা করেছে। অপো ও ব্র্যান্ডটির বৈশ্বিক প্রযুক্তিখাতের অংশীদাররা ৪ কোটি ৭২ লাখেরও বেশি টাকার অর্থায়ন, কারিগরি সহায়তা এবং অংশীদারিত্বমূলক সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে নতুন ও অভিনব প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সলিউশন প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করছে। এতে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন গ্রহণ চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে জানতে কিংবা নিবন্ধনের জন্য ভিজিট করুন- https://www.oppo.com/en/proposal/
‘ইন্সপাইরেশন অ্যাহেড’ এই থিমের ওপর ভিত্তি করে অপো রিসার্চ ইন্সটিটিউট, কোয়ালকম টেকনোলজিস, জিএসএমএ ৫-জি ইন, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস এবং লিংকডইন যৈাথভাবে ‘ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩’ এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। আগস্ট এর শুরু হতেই থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ও চীনের শেনজেন এ তিনটি আঞ্চলিক পরীক্ষামূলক আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিটি আয়োজনের চুড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণকারী পরবর্তীতে ‘ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জ অ্যাসিলারেশন ক্যাম্প’ এ যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হবে এবং তারা অপো’র এক্সিকিউটিভ ও কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে আগস্ট এর শেষে অনুষ্ঠিতব্য ‘গ্লোবাল ফাইনাল ডেমো ইভেন্ট’ এর আগে তাদের প্রস্তাবনা সংশোধন করতে পারবে।
‘ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩’ এর প্রস্তাবনাগুলো চারটি প্রধান মানদন্ডের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়িত হবে এগুলো হচ্ছে- সম্ভাব্যতা , প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনা এবং সামাজিক মূল্যায়ন। রিজিওনাল ডেমো ইভেন্ট সমূহ থেকে সর্বমোট ১৫টি মানসম্পন্ন প্রস্তাবনা নির্বাচিত হবে বৈশ্বিক চুড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগী হিসেবে। এরপর ‘গ্লোবাল ফাইনাল ডেমো ইভেন্ট’ এ শীর্ষ পাঁচটি বিজয়ী প্রস্তাবনা নির্বাচিত করা হবে ও সেগুলো প্রতিটি অনুদান হিসেবে পাবে ৫৩ লাখ টাকারও বেশি।
প্রতিটি আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা পর্ব থেকে শীর্ষ ১৫টি করে প্রস্তাবনা বাছাই করে- সর্বমোট ৪৫টি প্রস্তাবনার জন্য বিশ্বজুড়ে আরও অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগের সুযোগ থাকছে। যেমন- উৎপাদনমুখী ও বাণিজ্যিকীকরণের সুযোগ তৈরি, ২ কোটি ৪০ লাখ টাকারও বেশি অর্থের ইনকিউবেশন ফান্ড সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যৌথ উদ্যোগ প্রক্রিয়া, কৌশলগত অংশীদারিত্ব, বিনিয়োগ সুযোগ, বৈশ্বিক প্রযুক্তি অনুষ্ঠান সমূহে অংশগ্রহণসহ অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস থেকে ক্লাউড রিসোর্স ও প্রযুক্তিগত সহায়তাও পেতে পারবে উপযুক্ত প্রস্তাবনাগুলো।
স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির সহজলভ্যতা এবং পরিবেশের সুরক্ষা সমাজ উন্নয়নের প্রধানতম নিয়ামক; আর তাই অভিনব প্রযুক্তির মাধ্যমে এসব খাতে অগ্রগতি গুরুত্বপূর্ণ। ‘ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩’ বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি পেশাজীবীদের দুইটি ক্যাটাগরিতে সলিউশন প্রদানে সহযোগিতা করবে: ইন্সপাইরেশন ফর পিপল- ডিজিটাল হেলথ ও প্রযুক্তির সহজলভ্যতা’য় উদ্ভাবন। এক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত বিষয় সমূহ- হেলথ অ্যালগরিদম, সেন্সর ইনোভেশন, ডিজিটাল হেলথ মনিটরিং প্রোডাক্ট, অ্যাসিসটিভ টেকনোলজি এবং এল্ডারলি-ফোকাসড টেকনোলজি- এসব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পরিবেশের সুরক্ষা ও কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স-এ কার্বনের কম প্রভাবের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।