অপপ্রচার রোধে ইসি’র সঙ্গে কাজ করবে ফেসবুক
ক.বি.ডেস্ক: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার বন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে ফেসবুক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেন অপপ্রচার বন্ধ করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয় এ বৈঠকে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফেসবুকে অপপ্রচার, ঘৃণামূলক মন্তব্য, সাম্প্রদায়িকতা লঙ্ঘন হয় এমন ধরনের কনটেন্ট মুছে সহযোগিতা করতে পারে বলে বৈঠক শেষে জানানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটার বাংলাদেশ বিষয়ক হেড অব পাবলিক পলিসি রুজান সারোয়ারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন’র অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম এবং এনআইডি সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন। মেটা সিঙ্গাপুর অফিসের হেড অব এপিএসি গ্লোবাল রেসপন্স এইডান হোয় ও রেগুলেটরি বিশেষজ্ঞ ইউজিন পো।
অশোক কুমার দেবনাথ জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনের সময় কেউ অপপ্রচার চালালে বা সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে এমন মন্তব্য থাকলে সংশ্লিষ্ট একাউন্ট ব্লক করে দেয়ার অনুমতি চেয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এ সংক্রান্ত একটি টিম কমিশনের অধীনে কাজ করবে। আর এই ক্ষমতা তফসিল ঘোষণার পর প্রয়োগ করতে পারবে ফেসবুক। তবে এটি একটি প্রাথমিক বৈঠক। এ বিষয়ে আরও বৈঠক হবে কমিশনের সঙ্গে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের। তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, আমাদের যে টেকনিক্যাল লোক আছে, তাদের নিয়ে বসেছিলাম। কারণ এখানে কিছু টেকনিক্যাল ব্যাপার ছিল। মূলত ব্যাপারটা ছিল ফেসবুকে যেসব অপপ্রচার হয়, সেই অপপ্রচারগুলো কীভাবে রোধ করা যায়। বিশেষ করে ঘৃণামূলক মন্তব্য, সাম্প্রদায়িকতা বা অন্যান্য যেসব ভায়োলেশন হয়। সেগুলো তারা ডিলিট করবে, রিমুভ করে দিবে, ব্লক করবে। মূলত এই ছিল আলোচনার বিষয়বস্তু। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের একজন ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করা হবে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য। তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। আমাদের কাছে যেটা নেগেটিভ প্রতীয়মান হবে আমরা তাদেরকে জানাব, তারা সেটা রিমুভ করে দেবে।