সাম্প্রতিক সংবাদ

‘কোভিড-১৯ টেলিহেলথ সেন্টার’ পেলো ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার

ক.বি.ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইসিটি খাতের সবোর্চ্চ স্বীকৃতি জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার-২০২৩’ অর্জন করেছে এটুআই’র ‘কোভিড-১৯ টেলিহেলথ সেন্টার। কোভিড সময়ে মানুষের হাতের মুঠোয় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ায় এই প্রকল্প এবছর ‘আইসিটি এপ্লিকেশন: বেনেফিটস ইন অল অ্যাসপেক্টস অব লাইফ’ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

গতকাল বুধবার (১৫ মার্চ) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের আইসিটি সংক্রান্ত বিশেষায়িত সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদর দপ্তরে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর ও ই-গভার্নেন্সের চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট মো. ফরহাদ জাহিদ শেখ এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।

করোনা সংকট মোকাবিলায় সারাবিশ্ব যখন হিমশিম খেয়েছে, তখন বাংলাদেশ সরকার নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে কাজ করেছে। মহামারির এই সংকট নিরসনে নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং আইসিটি বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) -এর উদ্যোগে এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় শুরু হয় ‘কোভিড-১৯ টেলিহেলথ সেন্টার’ কার্যক্রম।

এই সেন্টারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীদের দক্ষ চিকিৎসকদের মাধ্যমে বিনা মূল্যে বিভিন্ন চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ, নির্দেশনা ও রেফারেল সেবা দেয়া হয়। অন্যান্য সেবা যেমন: খাদ্য ও ওষুধ সহায়তা, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা ইত্যাদি সার্ভিসের জন্য সহায়তা দেয়া হয়। একটি নির্দিষ্ট নম্বরের (০৯৬৬৬৭৭৭২২২) মাধ্যমে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের টেলি স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হচ্ছে।

এই টেলিহেলথ সার্ভিসের আওতায় ৯৫ শতাংশ রোগীকে বাড়িতে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় এবং বাকি ৫ শতাংশকে হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেন্টার থেকে সেবা প্রাপ্ত ৯৯ শতাংশ রোগী সেবা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং মৃত্যু হার হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১.৪ শতাংশে। ২০২০ সালের ১৩ জুন চালু হওয়া এই কলসেন্টার ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ‘কোভিড-১৯ টেলিহেলথ সেন্টার’ ৭,০৪,৮৯০ জন রোগীকে ১৫,৬১,০৬৮টি টেলিহেলথ পরিষেবা দিয়েছে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *