সাম্প্রতিক সংবাদ

ডিজিটাল সংযোগ হচ্ছে অগ্রগতির চাবিকাঠি: মোস্তাফা জব্বার

ক.বি.ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল সংযোগ হচ্ছে অগ্রগতির চাবিকাঠি। প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীসহ দেশের প্রতিটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় উচ্চগতির ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছে দিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে আমরা দেশের শতকরা ৯৮ভাগ অঞ্চল ৪জি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এনেছি। ২০২১ সালে বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে। বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে বাংলাদেশ কাজ করছে।

মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গতকাল (২৩ নভেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়স্থ তার দপ্তর থেকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে হুয়াওয়ে আয়োজিত ‘কানেক্ট দ্যা আনকানেক্টেট: মেকিং রিমোট কানেকসন্স, পলিসি, টেকনোলজিক্যাল ইনোভেশন অ্যান্ড মাল্টিপার্টি কো-আপরেশন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন। প্যানেল আলোচনায় বেলজিয়াম, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া এবং কম্বোডিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টেলিকম মন্ত্রী, ডিজিটাল প্রযুক্তি গবেষক ও ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতের অংশীজন অংশগ্রহণ করেন।

মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে বাংলাদেশ ডিজিটাল সংযোগ ও প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচি ২০২১ সালে সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন বিকাশের অভিযাত্রা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে থ্রিজি, ২০১৮ সালে ফোর-জি এবং ২০২১ সালে ফাইভ-জি যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। আমরা দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পৌছানোর চ্যালেঞ্জ সফলতার সঙ্গে মোকাবেলা করছি। পরিবেশ ও প্রতিবেশবান্ধব নিরবচ্ছিন্ন টেলিকম সেবা প্রতিষ্ঠা আমাদের লক্ষ্য। গোটা পৃথিবী টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্মিলিত উদ্যোগ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে টেলিকম বিশেষজ্ঞগণ বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাসসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় স্মার্ট ফ্যাক্টরি গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ডিজিটাল প্রযুক্তিকে পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় কাজে লাগাতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি কার্বণ নি:সরণ হ্রাসে ফলপ্রসূ অবদান রাখবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *