সাম্প্রতিক সংবাদ

মেট্রোনেট একাডেমি’র যাত্রা

ক.বি.ডেস্ক: দেশের প্রথম সারির তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেড দক্ষ জনবল প্রস্তুত করার জন্য ‘‘মেট্রোনেট একাডেমি’’ প্রতিষ্ঠা করেছে। নিজস্ব নবীন কর্মকর্তাদেরদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে যাত্রা হলো মেট্রোনেট একাডেমির। দেশের বর্তমান জনসংখ্যার একটি বড় অংশই তরুণ। বাংলাদেশকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হলে এখনই তরুণদের নিয়ে কাজ শুরু করা প্রয়োজন। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়লেও গত দেড় বছরে তেমন কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। সেই জায়গা থেকেই মেট্রোনেট একাডেমি আত্মপ্রকাশ করল। নিজস্ব কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি এখানে তরুণদের সফট ও টেকনিক্যাল স্কিল দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত ‘মেট্রোনেট একাডেমি’ এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বারের সভাপতি এবং মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আলমাস কবীর। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেডের সিনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শামীম আহমেদ ও মুহাম্মদ রেদওয়ানুল করিম, ফার্স্ট অ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট তানিয়া হক প্রান্তি এবং ব্র্যান্ডিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার মুন মন্ডল রাজীব।

সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে যে মেধাভিত্তিক জায়গায় দেখতে চান সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধান শর্ত হলো আমাদের জনবলকে দক্ষ করে তোলা। দেশের বর্তমান জনসংখ্যার একটি বড় অংশই তরুণ। বাংলাদেশকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হলে এখনই তরুণদের নিয়ে কাজ শুরু করা প্রয়োজন। গত দুই দশক যাবত মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেড নেটওয়ার্কিং সেক্টরে দশ সহস্রাধিক মানব সম্পদ তৈরি করেছে, যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন এবং উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেরাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। অনেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের বাইরেও পাড়ি দিয়েছেন এবং দক্ষ কর্মী হিসেবে আমাদের দেশীয় রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে অবদান রাখছেন। মেট্রোনেট একাডেমিও এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদী।

উল্লেখ্য, মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেড ২০০১ সালে দেশের প্রথম মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক স্থাপন করে যা দেশের আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ২০১৭ সালে মেট্রোনেট প্রথম ক্লাউড প্লাটফর্ম তৈরি করে এবং বাংলাদেশের আইটি ও আইটিইএস কোম্পানি, স্টার্ট-আপ, ব্যাংকগুলো নিজেদের অ্যাপ ও ডেটা রাখার জন্য সেই প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে শুরু করে যা আইসিটি শিল্পের বিকাশে অবদান রাখছে।

কেন্দ্রীয় বা মাঠ পর্যায়ে ই-সার্ভিস বাস্তবায়নের জন্য এবং আইসিটি ব্যবহার করে নাগরিক সেবার মান উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটির ইন্টারনেট, আইপি টেলিফোন, ক্লাউড, ওয়েব ডেভেলপমেন্টসহ নানাবিধ সার্ভিস বাংলাদেশ পুলিশ, ডেসকো, বিবিএস, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ শতাধিক সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং কয়েক সহস্রাধিক দেশী-বিদেশী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করছে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *