সাম্প্রতিক সংবাদ

কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা ‘লেটার বিল্ডার ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২’

ক.বি.ডেস্ক: সরকারি দাপ্তরিক কাজে ব্যবহৃত নথি, ডাক ও নোট তৈরির প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করতে এটুআই চালু করেছে কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা ‘‘লেটার বিল্ডার ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২’’। এটুআই ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত উদ্ভাবনী আইডিয়ার প্রস্তাবনা জমা দেয়া যাবে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) অনলাইনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম । বিশেষ অতিথি ছিলেন এটুআই’র পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী এবং বেসিস’র সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন এটৃ্আই’র যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক নাহিদ সুলতানা মল্লিক। বেসিস’র পরিচালক এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এটুআই ইনোভেশন ফান্ড এক্সপার্ট নাঈম আশরাফী, টেকনিক্যাল সাপোর্ট এক্সপার্ট জাফরিন আহমেদ।

বর্তমানে সরকারি পত্র, অফিস স্বারক, অফিস আদেশ, পরিপত্র, আধা-সরকারি পত্র, অনানুষ্ঠানিক নোট, প্রজ্ঞাপন, ফ্যাক্স বার্তা, বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদির জন্য ১১ ধরনের ফরম্যাট রয়েছে। সেবা প্রদানের প্রক্রিয়াকে আরো কার্যকর করার জন্য এসব ছাড়াও অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক দাপ্তরিক কাজে বিভিন্ন ধরনের কাস্টমাইজড টেমপ্লেট ব্যবহার করতে হয়। মন্ত্রাণলয় ও দপ্তরগুলো থেকে ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন টেমপ্লেট ব্যবহার করা অনেক সময়সাপেক্ষ ও জটিল, এতে প্রাতিষ্ঠানিক কাজও বাধাপ্রাপ্ত হয়।

এ সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধানের খোঁজে লেটার বিল্ডার ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উদ্ভাবিত পদ্ধতি প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তরের আওতাভূক্ত দপ্তরের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী কাস্টমাইজড টেমপ্লেট তৈরির সুযোগ এনে দেবে। যা বিতরণের মাধ্যমে পরবর্তীতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক কাজের যোগাযোগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত: www.challenge.gov.bd

এন এম জিয়াউল আলম  বলেন, সরকারি অফিসের ভাষা হলো পত্র, যা তৈরির ক্ষেত্রে সচিবালয়ের নির্দেশমালা ও নির্দিষ্ট কিছু টেমপ্লেট থাকলেও এগুলো ব্যবহারের কাস্টমাইজড সিস্টেম নেই। ফলে সরকারি কর্মকর্তারা কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে সমস্যায় পড়েন। যেসব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ফরম্যাটের টেমপ্লেট ব্যবহারের সুযোগ থাকে না, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে কাস্টমাইজড করা যায় এমন সুযোগ রেখে লেটার বিল্ডার তৈরির উদ্ভাবনী সমাধানের বিষয়টির গুরুত্ব রয়েছে। লেটার বিল্ডার ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচিত উদ্ভাবনের ব্যবহারকারী হবে সরকার, সেজন্য এর বিজনেস মডেল কেমন হবে সে বিষয়টিও চিন্তা করে দ্রুত এর বাস্তবায়ন করতে হবে।

আনীর চৌধুরী বলেন, লেটার বিল্ডার ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২ অংশ নিয়ে দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবিষয়ে গবেষণার সুযোগ পাবেন। যেখান থেকে অনেকগুলো উদ্ভাবনী আইডিয়া বেড়িয়ে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে, যা সরকারি দপ্তরগুলোতে ই-গভর্ন্যান্স ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। পাশাপাশি, শুধুমাত্র একটা প্রজেক্ট প্রকিউমেন্ট এর ওপর নির্ভর না করে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ের বুটক্যাম্প, গ্রুমিং সেশন ও গবেষণার ফলে বেশকিছু গতিশীল ও ব্যবহারবান্ধব বিজনেস মডেল তৈরিতে অবদান রাখবে।

নাহিদ সুলতানা মল্লিক বলেন, সরকারের কাজ করতে গিয়ে কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন পর্যায়ে সমস্যার সম্মুখীন হন। এর সমাধানে আজকের এই চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশীয় উদ্ভাবক ও প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে অনেকগুলো কার্যকর সমাধান বেড়িয়ে আসবে। এই প্রতিযোগিতার বিজয়ী উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি সিস্টেমটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সোর্স কোডিং এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং এর মালিকানার কীভাবে নির্ধারিত হবে তার বিস্তারিত নিশ্চিতের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *