অন্যান্য মতামত

সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে নারী সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ

ক.বি.ডেস্ক: সাইবার ঝুকি এবং সাইবার নিরাপত্তাসহ ডিজিটিাল অ্যাক্ট বিষয়ে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের (বিএনএসকে) সদস্য সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়নে দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সিটি ফোরাম বাংলাদেশ এবং বিএনএসকে’র যৌথ আয়োজনে রাজধানীর সফটওয়্যার পার্কে অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষন কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত নারী সাংবাদিকরা অংশগ্রহন করেন।

প্রশিক্ষন কর্মশালায় জুমে সংযুক্ত হয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনএসকে’র সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু। মূল বক্তব্য প্রদান করেন সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের মহাসচিব আরফি এলাহি মানিক। সভাপতিত্ব করেন সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার। সঞ্চালনা করেন বিএনএসকে’র তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক নাজনীন নাহার।

বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ হিসাবে গড়ে তুলতে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার যেখানে সাংবাদিকদের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তারা যদি তাদের লেখার মাধ্যমে  সাইবার নিরাপত্তাসহ সরকারী কার্যক্রমের ইতিবাচক সমালোচনা করে তা আমাদের সংশোধিত হয়ে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসা করে তবে তা আমাদের আরও ভালো কাজে উতসাহিত করবে।

নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, বর্তমানে নারী সহিংসতায় শারিরিক নির্যাতনের পাশাপাশি বেড়েছে মানসিক নির্যাতন এবং এক্ষেত্রে সেখানে সাইবার বা অনলাইন গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হিসাবে কাজ করবে। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্বিতে সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে। নারী গণমাধ্যম কর্মীরা যেনো যে কাজেই বাইরে যান না কেন সবসময় তার ফোন নম্বর সচল রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনে পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে লোকেশন শেয়ার করেন সেই পরামর্শ দেন।

আরফে এলাহী মানিক বলেন, নিরাপত্তা শুরু করতে হবে ব্যক্তি পর্যায়ে হতে। সামান্য ইমেইল বা ফেসবুক পাসওয়ার্ড হতে শুরু করে তথ্য যাচাই বাছাই, ভুল তথ্য প্রচার, ম্যালওয়্যার চেনা ও তা থেকে সুরক্ষায় মোবাইল এবং পিসিতে ফায়ারওয়ালের ব্যবহার এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখার রাখতে হবে। নিরাপত্তা বিধানে ব্যক্তি দক্ষতা উন্নয়নে মনযোগী হতে হবে। সেই সঙ্গে সাইবার বিশ্বে ঝুঁকি থাকবেই তাই বলে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বন্ধ না করে সতর্ক হতে হবে।

তপন কান্তি সরকার বলেন, তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ থেকে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি সুরক্ষায় তাদের মধ্যে প্রযুক্তি সক্ষমতা গড়ে তুলতে আমরা কাজ করছি। সেই ধারাবাহিকতায় জাতীয় সঙ্কট বা প্রয়োজনের নিরিখে যেমন তরুণদের অংশগ্রহণে হ্যাকাথনের আয়োজন করা হয়; তেমনি আমরা পেশাদারদের দক্ষতা উন্নয়নেও সচেষ্ট। আমরা জানি সাইবার বিশ্বে সুবিধার পাশাপাশি বিভিন্নভাবে আমাদের নারীরা নিরাপত্তার ঝুকিতে রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে সাইবার জগতে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের নারী সাংবাদিকরা যদি নিজেরা সতর্ক হন এবং তাদের লেখার মাধ্যমে অন্যদের সতর্ক করতে পারে তাহলে সাইবার জগতে নারীর নিরাপদ অংশগ্রহন বাড়বে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *