সাম্প্রতিক সংবাদ

ডাকঘর ডিজিটাল করা অপরিহার্য: মোস্তাফা জব্বার

ক.বি.ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাণিজ্যের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডাকঘর ডিজিটাল করা অপরিহার্য। ডিজিটাল যুগের উপযোগী ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের পথ নকশা তৈরি সম্পন্ন হচ্ছে। ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজ করার পাশাপাশি কর্মরত ৪৫ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীকেও ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ আমরা শুরু করেছি।

গতকাল সোমবার (২১ জুন) ঢাকা জিপিও মিলনায়তনে আয়োজিত ডাক অধিদপ্তরের বিদায়ী মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম, ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক রিয়াজুল ইসলাম, সাবেক পোস্ট মাস্টার জেনারেল বাহিজা আক্তার, খুলনা রেঞ্জের পিএমজি মো. শামসুল আলম এবং ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক এস এম হারুনুর রশিদ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হারুন উর রশীদ।

মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের বড় চ‌্যালেঞ্জ ছিলো চিঠিপত্রের যুগ শেষ হওয়ায় দুর্দশাগ্রস্থ ডাক সার্ভিসকে একটা ভাল অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমরা ইতোমধ‌্যে সেটা পেরেছি। ই-কমার্সের জন‌্য ডাকঘর এখন একটা নির্ভরযোগ‌্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দেশব‌্যাপী ডাকঘরের যে বিশাল অবকাঠামো ও জনবল আছে তা দেশের অন‌্যকোন প্রতিষ্ঠানের নেই। হিমায়িত খাবার থেকে শুরু করে নিত‌্য প্রয়োজনীয় পণ‌্য প্রত‌্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিতে ডাকঘরের বিকল্প নেই। জরুরী সেবার আওতায় ডাকঘর একদিনের জন‌্যও বন্ধ রাখা হয়নি।

তিনি বলেন, ডাকঘরকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রণীত ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবের (ডিএসডিএল) প্রস্তাব ডিজিটাল ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এর ফলে উতপাদনমুখী কর্মকাকাণ্ডের ডিজিটালাইজেশনের ভিত তৈরি হয়েছে। ডাক বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি করা এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সহসাই ডাকসেবা কাঙ্খিত মানে উন্নীত হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ প্রকাশ করেন।

ডাকঘর ডিজিটাইজ করার উদ‌্যোগ বাস্তবায়নে বিদায়ী মহাপরিচালক সিরাজ উদ্দিনের ভূমিকার প্রশংসা করেন মন্ত্রী। তিনি আশা করেন পরবর্তী মহাপরিচালক বিদায়ী মহাপরিচালকের কাজগুলোকে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে নিবেন। তিনি সিরাজ উদ্দিনের সুস্বাস্থ‌্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

বিদায়ী মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন তার দীর্ঘ চাকুরী জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু স্মৃতি ব্যক্ত করেন। মহাপরিচালকের দায়িত্বকালীন সময়ে ডাকঘরকে ডিজিটাল করতে একজন প্রকৃত অভিভাবক হিসেবে মন্ত্রীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন চিন্তা এবং তার আলোকে গৃহীত কর্মসূচির প্রশংসা করেন।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *