উদ্যোগ সাম্প্রতিক সংবাদ

দুটি স্টার্টআপকে সহযোগিতা করবে অ্যাকসেঞ্চার ও মাইক্রোসফট

ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশের দুটি স্টার্টআপকে সহযোগিতা প্রদান করবে অ্যাকসেঞ্চার এবং মাইক্রোসফট। স্টার্টআপ দুটির নতুন সমাধানের বিস্তৃতিতে এবং তাদের ব্যবসায়িক মডেলের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে এ সহায়তা প্রদান করা হবে। স্টার্টআপ দুটি সামাজিক প্রভাব এবং সাসটেইনিবিলিটিকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে।

বাংলাদেশ থেকে যেসকল উদ্দেশ্য নির্ভর স্টার্টআপ প্রজেক্ট অ্যামপ্লিফাইতে অংশ নিচ্ছে, তাদের মধ্যে নিরাময় হেলথ এবং প্রাভা হেলথ। দুটি স্টার্টআপই প্রদর্শন করেছে যে তাদের পণ্য, পরিষেবা এবং ক্রিয়াকলাপগুলো কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক এবং পরিবেশগত সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম।

প্রজেক্ট অ্যামপ্লিফাইয়ের মাধ্যমে দুটি স্টার্টআপই অ্যাকসেঞ্চার এবং মাইক্রোসফ্ট উভয়ের কাছ থেকে সর্বশেষ প্রযুক্তির পাশাপাশি পরামর্শ নেয়ার এবং সহায়তা পাওয়ার সুযোগ পাবে। নিরাময় হেলথ ও প্রাভা হেলথ যেনো নিজেদের সমাধানের প্রভাব এবং সামাজিক সুবিধাগুলো কার্যকর করে তুলতে পারে এবং এর বিস্তৃতি ঘটাতে সক্ষম হয়, এজন্য মাইক্রোসফট ও অ্যাকসেঞ্চার এ স্টার্টআপ দুটিকে টেস্ট এবং প্রুফ-অফ-কনসেপ্ট যাচাই করতে সহায়তা করবে।

অ্যাকসেঞ্চারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জয় পোদ্দার বলেন, সামাজিক উদ্যোগসমূহ তাদের সমাধানের বিস্তৃতিতে প্রযুক্তিগত সুবিধার প্রাপ্তি এবং উদ্ভাবনী দক্ষতার অভাবসহ নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। অ্যাকসেঞ্চার এবং মাইক্রোসফট উভয়ের প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আমরা এই ব্যবধান হ্রাসে সহায়তা করতে পারি। এই সামাজিক উদ্যোগগুলো তাদের পরিসর বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের কমিউনিটিতে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখতে পাবো বলে মনে করি। কেননা, এ মানুষগুলোর সাসটেইনিবিলিটি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও কৃষি সংশ্লিষ্ট সহায়তা প্রয়োজন।

মাইক্রোসফট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুপ ফারুক বলেন, সহ-উদ্ভাবন এবং আস্থাপূর্ণ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আরও বেশি কিছু অর্জনের লক্ষ্যে মাইক্রোসফটে আমরা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ক্ষমতায়নে কাজ করি। প্রজেক্ট অ্যামপ্লিফাইয়ের অধীনে সামাজিক উদ্যোগগুলো এ সমস্যাগুলোর সমাধানে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে। এ উদ্যোগগুলোর বিস্তৃতিতে এবং তারা যেনো সমাজে অর্থবহ পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে এজন্য তাদের প্রযুক্তি, দক্ষতা এবং ইকোসিস্টেম সংশ্লিষ্ট সহায়তা দিতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *