অ্যাপস উদ্যোগ মোবাইল সাম্প্রতিক সংবাদ

রাকুতেন ভাইবারের ‘তথ্য সুরক্ষা দিবস’ উদযাপন

ক.বি.ডেস্ক: নিজস্ব গোপনীয়তার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি, তথ্য সুরক্ষিত রাখতে এবং ভার্চুয়াল পরিসরে আস্থার পরিবেশ তৈরিতে রাকুতেন ভাইবার বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গতকাল শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) ‘‘তথ্য সুরক্ষা দিবস’’ উদযাপন করেছে। গোপনীয়তা ও সুরক্ষাকে ভাইবার সবক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে। এ বছর প্ল্যাটফর্মটি তরুণ শিক্ষার্থীদের ডাটা সুরক্ষার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে।

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শিক্ষাকার্যক্রম অনলাইন শিক্ষার দিকে ধাবিত হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। এক্ষেত্রে, ব্যবহৃত প্রযুক্তির বিদ্যমান এবং নতুন সুরক্ষা বিষয়ক সমস্যাগুলোও সামনে এসেছে। ই-লার্নিং আগের চেয়ে আরও বেশি সহজ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অনলাইন সুরক্ষার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। বর্তমান ই-লার্নিং বাস্তবতায় কীভাবে শিক্ষার্থীদের তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা যায় এবং তথ্য সুরক্ষিত রাখা যায় সেদিকে আরও গুরুত্বারোপ করার এবং মূল্যায়নের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করে ভাইবার।

অনলাইন শিক্ষা পরিচালনার সময় গোপনীয়তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত  যে  সমস্যাগুলো চলে আসে তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, এর সম্ভাব্য ব্যবহার এবং শিশুদের জন্য উপযোগী নয় এমন পণ্যের সঙ্গে এবং প্ল্যাটফর্মে এ তথ্যের ব্যবহার। তেমনি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ, যা পরবর্তীতে বাণিজ্যিক এবং বেআইনি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতে পারে। সংগৃহীত তথ্য এবং প্রোফাইলগুলো আচরণগত বা নির্দিষ্ট গ্রুপকে লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে, যা তাদের পরিচয় চুরি, সুনামের ক্ষতি, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং আরও অন্যান্য নেতিবাচক বিষয়ের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

ডেভিড সে

এ প্রসঙ্গে রাকুতেন ভাইবারের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র ডিরেক্টর ডেভিড সে বলেন, তথ্যের সুরক্ষা শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবক উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই অভিজ্ঞতার আলোকে সবার একটি সজাগ দৃষ্টি থাকা দরকার। বর্তমান প্রক্রিয়াগুলো এবং ক্রমবর্ধমান উদ্বেগগুলো নিয়ে পর্যালোচনা এবং তরুণ অনলাইন শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি হ্রাস করবে এমন বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা লক্ষ্য করেছি কীভাবে দায়িত্বশীল আচরণ অনলাইন লার্নিং টুলগুলোর যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম থেকে শিক্ষা সংক্রান্ত উপকরণ বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তিনি আরও বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, অনেক মানুষ এখনও তথ্যের গোপনীয়তা ও সুরক্ষার বিষয়ে খুব কম চিন্তা করে এবং কীভাবে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে তা নিয়েও তারা সচেতন নয়। শিশুদের বেলায় অনুপযুক্ত বিষয়বস্তু, চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন এবং অপরিচিতদের সঙ্গে ইচ্ছাবহির্ভূত এক্সপোজারও হুমকি তৈরি করে। একটি নিরাপদ অনলাইন পরিসর তৈরিতে অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এর ফলে, শিক্ষার্থীরা তাদের তথ্যের গোপনীয়তা এবং সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় না দিয়েই বেড়ে উঠতে, শিখতে এবং উন্নতি করতে পারবে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *