সাম্প্রতিক সংবাদ

জিবিএ’র সদস্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফিফোটেকের যাত্রা

গ্লোবাল বিপিও অ্যালায়েন্সের (জিবিএ) গ্লোবাল বিপিও কল সেন্টার অ্যালায়েন্স হচ্ছে বিশ্বের প্রথম ও সর্ববৃহত কলসেন্টার জোট। জিবিএ  এশিয়া, ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার বিপিও খাতে কাজ করছে। জিবিএ’র সঙ্গে কাজ করতে এরই মধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ফিফোটেক। ২০০২ সাল থেকে আইটি ও আইটিএস খাতের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করছে ফিফোটেক।

আজ (৫ নভেম্বর) ঢাকায় জুম কনফারেন্সের মাধ্যমে জিবিএ’র সদস্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফিফোটেকের যাত্রা শুরুর উদ্বোধন হয়। এ সময় সংযুক্ত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ওশেনিয়ান কমমপিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ এইচ কাফি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, বাক্কোর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবুল খায়ের এবং ফিফোটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ হোসেন প্রমুখ।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, গ্লোবাল বিপিও অ্যালায়েন্সের সঙ্গে বাংলা ভাষাভাষি প্রায় ৩৫ কোটি মানুষের জন্য বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিপিও সেবা দেয়ার মতো আমরা একটি সুযোগ পেয়েছি। আমি বিশ্বাস করি ফিফোটেকের যে যাত্রা সেই যাত্রার ফলে বাংলাদেশের বিপিও খাত আরো সমৃদ্ধ হবে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, মূলত ফিফোটেক বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বাংলাভাষার গ্রাহকদের বাংলাদেশ থেকে ও হিন্দি ভাষার গ্রাহকদের ভারতের কোলকাতা থেকে কলসেন্টার ও ব্যাক অফিস সেবা দিবে। আমরা আজ  থেকে আমাদের অফিসিয়াল যাত্রা করলাম। জিবিএ’র সদস্য হওয়ার ফলে কল সেন্টার ও বিপিও খাতে নতুন নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং এতে করে মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ইতোপূর্বে আন্তর্জাতিক কোনো জোটের সঙ্গে যুক্ত না থাকায় কলসেন্টার ও বিপিও খাতে কাজ পেতে বেগ পেতে হতো বাংলাদেশের কলসেন্টার ও আইসিটি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে। তাই জিবিএ’র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজের সুযোগ পাবে ফিফোটেক তথাপি বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করবে জিবিএ জোট।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কল সেন্টার ও বিপিও খাতের গ্রাহকদের কেন্দ্রীয়ভাবে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে জিবিএ জোট গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে জিবিএর সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ফিফোটেক, জাপানের মাস্টারপিস গ্রুপ ইনক, চীনের বেইজিং ৯৫ টেলিওয়েব ইনফরমেশন কোম্পানি, কলম্বিয়ার কলম্বিয়া আউটসোর্সিং সলিউশন্স এসএএস,, মালয়েশিয়ার ডে থ্রি বিজনেস সার্ভিসেস এসডিএন বিএইচডি, তিউনিসিয়ার নেক্সাস, রাশিয়া ও ইউক্রেনের টেলিকম এক্সপ্রেস, জার্মানির টিডিএম, ইতালির আইএনজিও এসপিএ, থাইল্যান্ডের নাইস কল কোম্পানি, মিয়ানমারের মাস্টারপিস গ্রুপ কোম্পানি, ফিলিপাইনের মাস্টারপিস গ্রুপ কোম্পানি, বেলজিয়ামের মাল্টিকম ও ইউরোপের আইএনইটেকের মতো ১৪টি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

চুক্তিবদ্ধ প্রত্যেকটি কোম্পানির নিজ দেশ ও বিদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। জিবিএর সদস্য কোম্পানিগুলো ২৮টি ভাষায় পৃথিবীর নানা প্রান্তে কল সেন্টার ও ব্যাক অফিসের সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা দিবে। পৃথিবীর মোট ভাষার ৬০ ভাগ ভাষার মানুষ জিবিএর মাধ্যমে কল সেন্টার ও বিপিও সেবা পাবেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের চাহিদা ও ভাষা অনুযায়ী সদস্য কোম্পানিগুলো কাজের ব্যবস্থা করে দেবে জিবিএ কর্তৃপক্ষ। যার ফলে ভবিষ্যতে এই জোটের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোন দেশে বসেই বিপিও ও কল সেন্টারের সেবা নিতে পারবেন গ্রাহকরা এবং সেবা দিবেন বিপিও ও কল সেন্টার এজেন্টরা। জিবিএর সঙ্গে যুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে পুনরায় কাজ করতে যাচ্ছে ফিফোটেক।বিস্তারিত:  https://www.gbacallcenter.com 

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *