সাম্প্রতিক সংবাদ

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক, রাজশাহী’ প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে সারাদেশে এক লক্ষ বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক, রাজশাহী’ প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। গতকাল (১৪ আগস্ট) আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

এর পরে ‘শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে’ তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য স্পেস বরাদ্দপত্র হস্তান্তর এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আওতায় কনভেনশন হল স্থাপনের জন্য জমি বরাদ্দের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব এ এইচ এম খায়রুজ্জামান (লিটন)। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী-৩ আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দিন, মহিলা আসন-৩৭ এর সাংসদ আদিবা আনজুম মিতা এবং রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।এসময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক রাজশাহী প্রকল্পের পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক।

রাজশাহীতে সদ্য নির্মিত শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭২ হাজার বর্গফুট বিশিষ্ট এই ভবনে স্টার্ট-আপদের জন্য বিনা মূল্যে স্পেস রাখা হয়েছে। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করা হয়।

এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক-এ কনভেনশন হল স্থাপন করবে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। এলক্ষ্যে সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক এ এন এম সফিকুল ইসলাম এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সচিব আবু হায়াত মো. রহমতুল্লাহ স্বাক্ষর করেন। উল্লেখ্য গত ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক-এ ১০ তলা বিশিষ্ট জয় সিলিকন টাওয়ারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পদ্মাপাড়ে মনোরম পরিবেশে প্রায় ২৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বেকারত্ব দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করাই আইসিটি বিভাগের অন্যতম লক্ষ্য। আর এ লক্ষ্য পূরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট, রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, রাজশাহী মেডিকেল, রাজশাহী কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর রাজশাহীতে এক জনসভায় এই অঞ্চলের জন্য একটি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি ‘শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর এন্ড ট্রেনিং সেন্টার’ এর উদ্বোধন করে রাজশাহীবাসীর স্বপ্ন অনেকটাই পূরণ করেছেন। এর মাধ্যমে রাজশাহীকে একটি প্রযুক্তি নগরী হিসেবে গড়ে তোলার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা কাজে লাগাতে হবে। প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থানের একটি ডিজিটাল ইকোনমিক হাব হিসেবে রাজশাহীর ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান (লিটন) বলেন, রাজশাহীবাসীর উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই বেশি কাজ করেছে। ‘শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন এন্ড ট্রেনিং সেন্টার’ থেকে ট্রেনিং নিয়ে এখানকার তরুণ-তরুণীরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এখন থেকে আর চাকুরির পেছনে ছুটতে হবে না, নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে মানুষকে চাকুরি দিবে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *