উদ্যোগ সাম্প্রতিক সংবাদ

কোভিড-১৯: মোকাবেলায় এগিয়ে এসেছে গ্রামীণ টেলিকম

বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা  ও নিরাপত্তা বিশেষ করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান সমুহও সবার সঙ্গে এগিয়ে এসেছে পরিস্থিতি মোকাবেলার বিভিন্ন কর্মসুচী নিয়ে। 

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিতসার জন্য ডাক্তার, নার্সসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষায় গ্রামীণ ফ্যাব্রিক্স অ্যান্ড ফ্যাশন্স ২০,০০০ নিরাপত্তা গাউন তৈরি করে বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিতসা সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করেছে।

আরও ১০,০০০ পিস পিপিই তৈরীর কাজ চলমান আছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যে সব ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী সামনে থেকে এবং আইসিইউ এর দায়িত্ব পালন করবেন তাদের সুরক্ষার জন্য উচ্চ গ্রেডের ২০,০০০ পিস পিপিই তৈরীর জন্য স্পেসিফিক কাপড় ও সীম সিলিং টেপ আমদানীর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সমস্ত  কাঁচামাল আজ (এপ্রিল ১৮) দেশে এসেছে। ২০,০০০ পিস উচ্চ গ্রেডের পিপিইসহ মোট ৫০,০০০ পিস পিপিই তৈরী করে সরবরাহের জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি ।

গ্রামীণ টেলিকমের আর্থিক সহায়তায় এই উৎপাদন করে যাচ্ছে। প্রধম ধাপে এই সকল পিপিই কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, স্বাস্থ্য বিভাগ, হযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিডফোর্ড হাসপাতাল, খুলনা শিশু হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি, উত্তরা উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, ডি.এস.কে হাসপাতাল, সুইস কন্টাক্ট বাংলাদেশ, উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল, বি.এম.এ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে বিতরন করা হয়েছে।     

গ্রামীণ টেলিকম যে সমস্ত  স্বাস্থ্য রক্ষাকারী সামগ্রী এখানে উৎপাদন করতে পারছে না সেগুলো বিদেশ হতে আনার পদক্ষেপ নিয়েছে।২,০০,০০০ সার্জিকাল মাস্ক, ৫০,০০০ এন৯৫ মাস্ক, ৫০,০০০ হ্যান্ড গ্লাভস ও ১০,০০০ প্রটেকটিভ গগলস্ এই জরুরি সামগ্রীগুলি দেশের সর্বত্র ডাক্তার নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে পৌঁছানোর জন্য গ্রামীণ টেলিকম উদ্যোগ নিয়েছে।     

যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে এসব সামগ্রীর অভাব আছে তাঁরা প্রয়োজনের কথা জানিয়ে রাখার জন্য গ্রামীণ টেলিকম অনুরোধ জানাচ্ছে। info@grameentelecom.net.bd।

করোনা ভাইরাসে সারাদেশে লক ডাউন চলছে। এর ফলে দেশের বহু মানুষের অন্ন সংস্থানের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। দুঃস্থ মানুষকে দু’বেলা খাবার সংস্থানের জন্যও কর্মসুচি গ্রহন করেছে গ্রামীন টেলিকম।

এই কর্মসুচীর অধীনে প্রাথমিকভাবে দেশের আড়াই হাজার দুঃস্থ পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদেরকে করোনা শেষ না হওয়া পর্য্ন্ত নিয়োমিত খাবার সরবরাহের কর্মসুচী নিয়েছে। দেশব্যাপী গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানসমুহের স্থানীয় অফিসের কর্মচারী-কর্মকর্তারা তাদের এলাকার নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিবারের দায়িত্ব গ্রহন করেছে। এই আড়াই হাজার পরিবার এই মহামারী শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিনের খাবার অর্থ যোগান দিচ্ছে তিনটি গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান- গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট এবং গ্রামীণ কল্যাণ। 

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *